প্রিন্ট এর তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ০২ মে ২০২৫
এনবিআর ভাগ করায় রাজস্ব কমলেও পরিবেশ উন্নত হবো
শেখ নেছারুল ইসলাম , সম্পাদক ও প্রকাশক ||
দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব কৌশল (এমএলটিআরএস) চালু করেছে। এর লক্ষ্য হলো- ২০৩৪-৩৫ অর্থবছরের মধ্যে কর-জিডিপি অনুপাত ১০ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জন করা। কৌশলটি বাস্তবায়নের আগে অতীতের সংস্কার পদক্ষেপগুলো কিভাবে এবং কেন সফল হয়নি তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) থেকে প্রকাশিত মে মাসের ইকোনমিক আপডেট অ্যান্ড আউটলুকে এসব কথা বলা হয়েছে।প্রতিবেদনটি শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, জিডিপির শতাংশ হিসাবে বাংলাদেশের রাজস্ব তার সমকক্ষদের তুলনায় যথেষ্ট কম। ২০২৫ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এই অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহ গত অর্থবছরের তুলনায় কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মাত্র ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় করার সরকারের ইচ্ছা মূলত উচ্চ রাজস্ব সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে।মূল্যস্ফীতি বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এবং সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি কমছে। এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মার্চ মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। একইভাবে এপ্রিলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ হয়েছে। সরকারের গৃহীত সরবরাহ এবং চাহিদা- উভয় ক্ষেত্রের পদক্ষেপের ফলেই কমছে মূল্যস্ফীতি। চাহিদার দিক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থবছর-২৫ এর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, যার লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল করা। এছাড়া চাল এবং ভোজ্যতেলের মতো প্রয়েজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ওপর শুল্ক কমানোর মতো রাজস্ব নীতিগত পদক্ষেপগুলোও মুদ্রাস্ফীতির এ পতনে অবদান রেখেছে। বন্যা এবং অন্যান্য জলবায়ুগত ঘটনা না ঘটার কারণে মৌসুমি শাকসবজি এবং ফসলের প্রাপ্যতা সরবরাহের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যাশা অনুযায়ী জুনের শেষ নাগাদ ৭-৮ শতাংশের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ ধরনের প্রচেষ্টা অপরিহার্য।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বহিরাগত খাতের চাপ কমেছে। তবে আগামী মাসগুলোতে স্থিতিশীলতা এবং প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য টেকসই প্রচেষ্টার ওপর জোর দিতে হবে। এদিকে এপ্রিলে রপ্তানি মূল্য এবং প্রবৃদ্ধি উভয় দিক থেকেই অর্থবছরের সর্বনিম্ন ছিল, যা ৩ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি বছরে মাত্র ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি
কপিরাইট © ২০২৫ টিভি ২৬ নিউজ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত